স্টাফ রিপোর্টার: চলনবিলের গোটা উপজেলাগুলোর মধ্যে তাড়াশ উপজেলা সদর বাজারই একমাত্র গ্রমীণ ব্যবসা কেন্দ্র যেখানে কিছু জিনিসের মূল্য ঢাকার বাজার দরের চেয়ে বেশী। এখানে চাল, ডাল, শাকসবজি, গুড়, চিনি, লবণ, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম যেটাই হোক মূল্য অত্যৗল্প চড়া তথা লাগামছাড়া। তাড়াশ সদরে যে দুধ ৭০-৮০ টাকা লিটার তাড়াশের বাইরে যেকোন গ্রামীণ বাজারে তা ১০ থেকে ২০ টাকা মূল্য কম। শাকসবজির দাম তাড়াশের অপেক্ষা নিমগাছি হাটে অর্ধেক। এজন্য প্রতি সোম-বৃহস্পতি নিমগাছি হাটে তাড়াশ থেকে বহু মানুষ নিমগাছি বাজারে সবজি বাজারের জন্য গিয়ে থাকে। তাড়াশ চলনবিল অন্তর্গত হলেও এখানে ইদানিং মাছের আমদানীও কম এবং বাজারমূল্য চড়া। অথচ পার্শ্ববর্তী চাঁচকৈড় তুলনামূলক বিশাল ব্যবসা-মোকাম সত্তে¡বও সেখানে মাছ-মাংসের দাম তাড়াশের চেয়ে কম। মুদি আইটেমের জিনিসপত্রের মূল্যও তাড়াশ বাজারে আকাশছোঁয়া। এখানেও সব পণ্য বাজারে সিন্ডিকেট বিদ্যমান তার সহজেই বোঝা যায়। অন্যদিকে তাড়াশ পৌর বাজারটি উপজেলা সদরে হলেও উপজেলা প্রশাসন বাজার মনিটরিং এ কোন দৃষ্টি দেয় না। মূল্যস্ফীতি ও যথেষ্ট দাম বাড়ানো ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন উদাসীন। এইজন্যই বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করে দাম উর্ধ্বমুখী বাড়িয়েই চলেছে যার কোনই লাগাম টানার খবর নেই।