ছাত্র-জনতার কোন আন্দোলন বৃথা যায় নাই 

ছাত্র-জনতার কোন আন্দোলন বৃথা যায় নাই 

আবুল কালাম আজাদ

৫২র ভাষা আন্দোলনে ১৪৪ ধারা ভেঙে পাক হানাদার বাহিনীর রাইফেলের সামনে বুক পেতে দিয়ে শহিদ হয়ে ছিলেন সালাম,রফিক,বরকত,জব্বারসহ অনেকে।তাদের রক্ত বৃথা যায় নাই।আমরা রাষ্ট্রভাষা বাংলা পেয়েছি।মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারছি।আন্তর্জাতিক স্বিকৃতি পেয়েছি।
১৯৭১ সালে ৯ মাস স্বৈরাচারি পাক হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযুদ্ধ করে লক্ষ প্রাণ এবং মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছি স্বাধিনতা।পেয়েছি সার্বভৌম মানচিত্র এবং লাল সবুজের পতাকা। তলাবিহীন ঝুরি বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
১৯৯০ সালে সামরিক সরকার স্বৈরাচার জেনারেল এরশাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুন: উদ্ধারের আন্দোলনে নুর হোসেন নামের মুক্তিকামি এক তরুণ বুকে-পিঠে ”গণতন্ত্র মুক্তি পাক,স্বৈরাচার নিপাত যাক” শ্লোগান লিখে মিছিলের সামনে মুষ্ঠিবদ্ধ হাত উচিয়ে নির্ভিক চিত্তে স্বৈরাচারের বন্দুকের গুলিতে শহীদ হন। ডাক্তার মিলন শহীদ হন।সেই গণ জোয়ারে গণ অভ্যুত্থানে প্রতাপশালী সামরিক সরকার জেনেরেল এরশাদের ৯ বছরের স্বৈর শাসনের পতন ঘটে। ৭৫ থেকে ৯০ পর্যন্ত ১৬ বছরের জেনারেল জিয়া- এরশাদের সমরিক শাসনের অবসান ঘটে।
২০২৪ সালে চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে মেধাবি শিক্ষার্থিদের ১দফা থেকে ৯ দফা, অত:পর আওয়ামি লীগ সরকারের পদত্যাগ চেয়ে ১দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার বাধভাংগা দুর্বার গণ আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থি আবু সাইদ স্বৈরাচারি আওয়ামি লীগের পুলিশের বন্দুকের সামনে নিরস্ত্র হাতে নির্ভিক বুক চেতিয়ে বন্দুকের গুলিতে শহীদ হন।নিরস্ত্র সাইদ পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ায় শুর হয় গণঅভ্যুত্থান।এই ছাত্র জনতার দুর্বার গণ অভ্যুত্থানে গণরোষে ২৬ জুলাই (৫আগষ্ট-২০২৪) নির্মম পতন ঘটে ১৬ বছরের আওয়ামি লিগ সরকারের স্বৈরাচারী দু:শাসনের।
ইতিহাস বলে এবং আমার দেখা প্রত্যেকটা আন্দোলনেই নেতৃত্ব দিয়েছেন তরুণ ছাত্ররা।ছাত্রদের আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় নাই, হবেও না।এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন সাইদ, মুগ্ধসহ হাজারো নিরস্ত্র নীরিহ ছাত্র- জনতা৷ ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ৫ আগষ্ট ২য় স্বাধিনতা অর্জিত হয়েছে। এই স্বাধিনতা আবার যেন ব্যর্থ না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।ব্যর্থ করতে আবারো সেই শকুনেরা খামচে ধরেছে ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বধিনতা। কিন্তু দেখা গেছে অতীত থেকে কেউ শিক্ষ না নেওয়ায় শেষ পরিনতি বড়ই নির্মম হয়েছে। তাই সাধু সাবধান!
২টি ছবি ভাল করে দিতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top